নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লোডশেডিং এর সমস্যা যেমন তেমন, রাজধানীতে পানির সমস্যা চরম। চাহিদা বেশি হওয়ায় ওয়াসা অফিসে পানির গাড়ীর ব্যাপক ডিমান্ড। ওয়াসা অফিসে ডিমান্ড অনুযায়ী টাকা জমা দিয়ে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে হচ্ছে সীমাহীন অনিয়ম। ওয়াসা অফিসে কেউ যদি আজকে সকালে পানির গাড়ীর জন্য সিরিয়াল দেয় পানি পাবে কাল বিকেলে বা তারও পরে এমন অবস্থা। পানির গাড়ীর সিরিয়াল নিয়ে আলোচনা ঢাকার বাড়িওয়ালাদের মুখে মুখে। অনেকেই অভিযোগ করেন ক্ষমতাবান নেতারা ক্ষমতা দেখিয়ে ও বেশি টাকার বিনিময়ে আগে পানির গাড়ী নিয়ে যাচ্ছে।
মহাখালীর এক বাসিন্দা আনিস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিন দিন আগে দেওয়া সাত নাম্বার সিরিয়ালের পানির গাড়ী আজ পর্যন্ত পাইনি।’
আরেক বাসিন্দা লুৎফর রহমান স্বপন বলেন, ‘গতকাল সকাল ৫.৪৫ মিনিটে সিরিয়াল দিয়েছি এখনোও পানি পায় নাই এই হলো অবস্থা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘কড়াইল বস্তি বাসী নাকি আগে পানি পায়। ওয়াসা অফিসে ফোন করার পর বলেছিল কড়াইলের বেলতলায় আগে পানির গাড়ী যাবে। মন চায় এখন বাড়ি ঘর ভেঙে কড়াইল বস্তিতে গিয়ে থাকি। ওখানে কোনো প্রবলেম নেই গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এর।’
বুধবার (৭ জুন) সরেজমিনে মহাখালী টি.বি গেইট ওয়াসা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ২০টি ভ্যান বড় বড় পানির টাংকি নিয়ে সিরিয়াল দিয়ে আছে পানি লোড করার জন্য অথচ পানির লাইন মাত্র ১টা। এর মধ্যে অনেক নেতাই তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে আগে ভ্যান ঢুকিয়ে দিচ্ছে সিরিয়ালে। অনেকেই দেখা যায় আগে গাড়ী পাওয়ার জন্য ওয়াসা অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে।
এক ভ্যান চালককে প্রশ্ন করা হয় এক ভ্যান পানি কত নেওয়া হয়। বললেন ৫০০ টাকা। তাঁকে বলা হলো আজকে পানি দিতে পারবেন? তিনি বললেন আজকে সিরিয়াল দিলে কাল পানি পাবেন। ঐ ভ্যান চালক বলেন ‘চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে পরে এক টাংকি পানি ভরসি।’
মহাখালী ওয়াসা অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ঘনঘন লোডশেডিং এর কারনে পানির সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পানির গাড়ীর সিরিয়াল নিয়ে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবী করেন তিনি।